ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ , ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বানারীপাড়ায় এমটিএফই প্রতারণায় অভিযুক্ত আব্দুর রহমানের বাড়ি ঘেরাও


আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-২৩ ০১:৩৬:৪৭
​বানারীপাড়ায় এমটিএফই প্রতারণায় অভিযুক্ত আব্দুর রহমানের বাড়ি ঘেরাও ​বানারীপাড়ায় এমটিএফই প্রতারণায় অভিযুক্ত আব্দুর রহমানের বাড়ি ঘেরাও


বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বানারীপাড়া উপজেলার এমটিএফই প্রতারক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার, সকালে আব্দুর রহমানের আত্মীয়-স্বজন, বিশেষ করে তার শ্যালিকা, যখন তার ভাড়া বাসা থেকে মালামাল স্থানান্তর করতে যান, তখন স্থানীয় জনগণ ও প্রতারিত গ্রাহকরা তা দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং তার বাড়ি ঘেরাও করে। অবশেষে মালামাল রেখে তার আত্মীয়-স্বজনরা চলে যেতে বাধ্য হয়। 

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, আব্দুর রহমান ছিলেন বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাহমুদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাসরত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গত কয়েক বছরে বানারীপাড়া, বন্দর বাজার, এবং আশেপাশের এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে  প্রতারণার ফাদে ফেলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

আব্দুর রহমানের প্রতারণা চক্রে তার সঙ্গী হিসেবে যুক্ত ছিলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মিজান (৪২) এবং আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে নাসির হোসেন (৪০), যারা তার শীর্ষস্থানীয় কর্মী ছিলেন। এসব প্রতারণার মাধ্যমে তিনি শুধু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নয়, সাধারণ মানুষকেও ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতারিত গ্রাহকরা এবং স্থানীয় জনগণ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। একজন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক জানান, "আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু সে আমাদের পুরো জীবনটাই দুর্বিষহ করে দিয়েছে। আমাদের টাকা ও পরিশ্রম উড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।" অন্যদিকে, এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, "এ ধরনের প্রতারণা সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এবং যারা এমন কাজ করছেন, তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত, যাতে অন্যরা এভাবে প্রতারণা করতে সাহস না পায়।"

স্থানীয়দের মধ্যে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে—এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে সঠিক পদক্ষেপ কি গ্রহণ করা হচ্ছে? অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি এ ধরনের প্রতারণা থামানো না হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর জন্য কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে যেন তারা সহজেই এসব মুখরোচক প্রলোভনে না পরেন। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনেরও উচিত এসব প্রতারণার ঘটনা নিয়মিত তদন্ত করা এবং প্রতারিত মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট কোর্ট বা বিচার ব্যবস্থা গঠন করা।

প্রতারকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও জাতীয় আইন প্রয়োগে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এসব অপরাধের প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখায়, তবে একে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বানারীপাড়া উপজেলায় মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং এটি পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, সমাজে এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে, সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে, প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ—তাদের দৃঢ় পদক্ষেপই পারে এসব অনিয়ম বন্ধ করতে।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ